স্লিপ প্যারালাইসিস বা বোবায় ধরাঃ আপনি জেগে আছেন কিন্তু নড়াচড়া করতে পারবেন না
স্লিপ প্যারালাইসিস বা বোবায় ধরা যে কারোর জন্য একটি ভীতিকর অভিজ্ঞতা হতে পারে যেটা কিনা আশ্চর্যজনক ভাবে সাধারণ একটি বিষয়।
হঠাৎ ঘুম থেকে উঠার পর আপনি অনুভব করবেন যে আপনার সকল ইন্দ্রিয় কাজ করছে কিন্তু আপনি নড়াচড়া করতে পারছেন না। আপনি কথা কিছু বলতে চাচ্ছেন কিন্তু মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। স্লিপ প্যারালাইসিস প্রধানত হয় যখন কেউ ঘুম থেকে উঠে বা ঘুমের মধ্যে। এই সময় মনে হয় বুকের উপর ভারী কিছু বসে আছে অথবা শ্বাসকষ্টও অনুভব হতে পারে। শরীরের এই অবস্থাটি কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। অনেকেই বিশ্বাস করে যে অতিলৌকিক কোনো কিছু এর জন্য দায়ী। আসলে এটি স্রেফ একটি শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার। অন্য কিছু নয়।
এটা দুঃস্বপ্নের থেকেও বেশি জটিল ।
হঠাৎ ঘুম থেকে উঠার পর আপনি অনুভব করবেন যে আপনার সকল ইন্দ্রিয় কাজ করছে কিন্তু আপনি নড়াচড়া করতে পারছেন না। আপনি কথা কিছু বলতে চাচ্ছেন কিন্তু মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। স্লিপ প্যারালাইসিস প্রধানত হয় যখন কেউ ঘুম থেকে উঠে বা ঘুমের মধ্যে। এই সময় মনে হয় বুকের উপর ভারী কিছু বসে আছে অথবা শ্বাসকষ্টও অনুভব হতে পারে। শরীরের এই অবস্থাটি কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। অনেকেই বিশ্বাস করে যে অতিলৌকিক কোনো কিছু এর জন্য দায়ী। আসলে এটি স্রেফ একটি শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার। অন্য কিছু নয়।
এটা দুঃস্বপ্নের থেকেও বেশি জটিল ।
ঘুমের মধ্যে যখন হঠাৎ মনে হয় ওপর থেকে পরে যাচ্ছি তখন একে বলে হিপনিক জার্ক। আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ি তখন আমাদের সারা শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে আসে মাংসপেশীগুলো শিথিল হয়ে আসে। কিন্তু যদি সে সময়ের মধ্যে আমাদের মস্তিষ্ক বুঝতে পারে না কিন্তু আসন্ন বিপদ মোকাবিলা করার জন্য আমরা ঝাকি দিয়ে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠি। এ সমস্যাগুলো হওয়ার প্রধান কারণ হলো আমরা অনেকক্ষণ ধরে ব্রেনকে রেস্ট না দিয়ে একটানা পড়াশোনা বা অফিসের কাজ কিংবা কোনো চিন্তা করতে করতে যদি ঘুমিয়ে পড়ি এবং আমাদের ঘুমের মধ্যেও যদি এসব চিন্তা চলতে থাকে তবে তখনই এ ঘটনা ঘটে। আবার যখন ঘুমানোর পর শরীর অসাড় হয়ে যায় তখন একে অনেকে কুসংস্কারের বশে বোবা ভূত ধরা বলে। আমাদের ঘুমের ২টা পর্যায় আছে। একটি হলো র্যাপিড আই মুভমেন্ট আর অন্যটি হলো নন র্যাপিড আই মুভমেন্ট। ঘুমের মধ্যে এ দুটি পর্যায় ক্রমে ক্রমে আসে। আমরা যদি কোনোভাবে এর মাঝের সময়ে জেগে যাই তখন আমরা হাত-পা নাড়তে পারি না। কথা বলতে পারি না। কারণ আমাদের এই জেগে থাকা সম্পর্কে মস্তিষ্ক অবগত থাকে না।
চোখ খুলেই লাফ দিয়ে উঠা যাবে না ।
কয়েকটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে কেউ কেউ এই সময় তাঁরা তাদের মুখ, হাত-পায়ের পেশিগুলো কে আন্দোলিত করতে পারে এবং এটাই তাদের এবং পুরো শরীরকে উঠতে সাহায্য করে। প্রায় সবাই কিছু না কিছু ভিন্ন জিনিস চেষ্টা করে। প্রকৃতিই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে, কেউ ইচ্ছে করলেই একে বকা বানাতে পারবে না। আপনি নিজের ইচ্ছেয় এর থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন না। আপনি শুধুমাত্র অপেক্ষা করতে পারেন।
কিন্তু সত্যি, এর পেছনে নির্ধারিত কোন কারণ নেই।
স্লিপ প্যারালাইসিসের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এর অন্যতম কারণ হলো চাপের মধ্যে থাকা এবং যথেষ্ট বিশ্রামের অভাব। অনিয়মিত ঘুমও এর আরেকটি কারণ। ঘুমের নির্দিষ্টতা না থাকা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ঘুমের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সমস্যা, হাত-পায়ের মাংসপেশিতে খিঁচ ধরা, অনিদ্রা, বিষণ্নতা প্রভৃতি।
স্লিপিং প্যারালাইসিস থেকে বাঁচার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজ উপায়টি হলো ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা।
Comments
Post a Comment